ইমামের পিছনে মুক্তাদির সুরা ফাতেহা ও কিরাত পড়া লাগবে কিনা?


*** ইমামের পিছনে মুক্তাদির সুরা ফাতেহা ও কিরাত পড়া লাগবে কিনা?



এ বিষয়ে পবিত্র কুরআনুল কারীমে আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন- فاذا قرئ القران فاستمعوا له وانصتوا لعلكم ترحمون 

অর্থাৎ , যখন তোমাদের নিকট কোরআন তেলাওয়াত করা হয় তোমরা মনোযোগ সহকারে শ্রবণ করো । (আল কোরআন)।


অত্র আয়াত দ্বারা বুঝা যায় যে, নামাজে ইমাম সাহেব কেরাত পাঠ করলে মুক্তাদী চুপ থাকবে যা শরীয়তের নস দ্বারা স্পষ্ট ।

# অপরদিকে রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাদিসে পাকে এরশাদ করেছেন - যে ব্যক্তি সূরা ফাতেহা পাঠ করে না তার নামায হয় না। (বুখারী ও মুসলিম)

(খ)মুসলিম শরীফের অপর এক বর্ণনায় এসেছে , হযরত আবু মুসা আশ'আরী (রাযি.) হতে বর্ণিত- একদা রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে ওয়াজ করলেন তখন তিনি আমাদেরকে সুন্নাত শিক্ষা দিলেন এবং নামাযের পদ্ধতি সমূহ বর্ণনা করলেন এবং তিনি আরও বললেন ইমাম যখন কিরাত পড়বে তখন তোমরা নীরব থাকবে।

#উপরোক্ত উভয় হাদিসই সহীহ। তবে প্রথম হাদিস দ্বারা ব্যাপকভাবে বুঝানো হয়েছে যে, সূরা ফাতিহা পাঠ না করলে নামাজ হবে না , সে ক্ষেত্রে ইমাম ও একাকী নামাজ আদায়কারীকে মুক্তাদির মত অবশ্যই কেরাত পাঠ করতে হবে। অপরদিকে দ্বিতীয় হাদীস দ্বারা বুঝা যায় যে, ইমামের পিছনে মুক্তাদী নিজে কেরাত না পরে নীরব থাকবে।

উক্ত হাদীসের দ্বন্দ্ব নিরসনের ক্ষেত্র হিসেবে হানাফী সহ অধিকাংশ ফকিহ 'তাতবীক' তথা সমন্বয় সাধনের পন্থা অবলম্বন করেছেন। প্রথম হাদীসটি একাকী নামায আদায়কারীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে আর দ্বিতীয় হাদীসটিতে মুক্তাদির কথা বলা হয়েছে। এই সমাধানের স্বপক্ষে রয়েছে হযরত জাবের (রাযি.) বর্ণিত রিওয়ায়াত। এবং এটাই সর্বাধিক বিশুদ্ধতম সমাধান।

#কোরআন ও হাদিসের দলিল অনুযায়ী ইমামের পিছনে মুক্তাদীর সূরা ফাতিহা ও কিরাত পাঠ করা লাগবে না।

No comments

Powered by Blogger.