কুরবানীর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
কুরবানীর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
وَاتْلُ عَلَيْهِمْ نَبَأَ ابْنَيْ آدَمَ بِالْحَقِّ إِذْ قَرَّبَا قُرْبَانًا فَتُقُبِّلَ مِنْ أَحَدِهِمَا وَلَمْ يُتَقَبَّلْ مِنَ الْآخَرِ قَالَ لَأَقْتُلَنَّكَ قَالَ إِنَّمَا يَتَقَبَّلُ اللَّهُ مِنَ الْمُتَّقِينَ
আর তুমি তাদের নিকট আদমের দুই পুত্রের সংবাদ যথাযথভাবে বর্ণনা
কর, যখন তারা উভয়ে কুরবানী পেশ করল। অতঃপর তাদের একজন থেকে গ্রহণ করা হল, আর অপরজন
থেকে গ্রহণ করা হল না। সে বলল, ‘অবশ্যই আমি তোমাকে হত্যা করব’। অন্যজন বলল, ‘আল্লাহ
কেবল মুত্তাকীদের থেকে গ্রহণ করেন’।
(সূরা মায়েদার আয়াত নং ২৭)
হাবিল তার পেশা হিসেবে দুম্বা, ভেড়া চড়াতেন তাই তিনি আল্লাহর
দরবারে একটি মোটাতাজা দুম্বাকে কুরবানীর উদ্দেশ্য করে, উৎসর্গ করেন।
অপরদিকে কাবিল পেশা হিসেবে শাঁক সবজি চাষাবাদ করতেন তাই, তিনি,
কিছু শাঁক সবজি কুরবানীর উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করেন।
ফলাফল স্বরুপ আল্লাহ তায়ালা হাবিলের কুরবানী করল করলেন, তখন
আকাশ থেকে আগুনের মাধ্যমে
উৎসর্গ কৃত বস্তু বা প্রানি পুড়িয়ে দেওয়াই কুরবানী করুল
হিসেবে গণ্য হত।
এ বিষয়টি আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনুল কারীমে ইরশাদ করেছেন
إِذْ قَرَّبَا قُرْبَانًا فَتُقُبِّلَ مِنْ أَحَدِهِمَا وَلَمْ يُتَقَبَّلْ مِنَ الْآخَرِ قَالَ لَأَقْتُلَنَّكَ قَالَ إِنَّمَا يَتَقَبَّلُ اللَّهُ مِنَ الْمُتَّقِينَ
যখন তারা উভয়েই কুরবানী পেশ করল তখন আল্লাহ তাআলা তাদের একজনের
কুরবানী কবুল করলেন,অন্যজনের কুরবানী কবুল করা হলো না ।আর আল্লাহ তায়ালা শুধুমাত্র
মুত্তাকিনদের থেকেই কবুল করেন।
(সূরা মায়েদা আয়াত নং ২৭)
এরপরের কুরবানীর ইতিহাস হয় হযরত ইবরাহিম আ. ও, ইসমাঈল আঃ এর
আত্নত্যাগের সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে।
ইবরাহিম আ. এর সন্তান হচ্ছিল না। অনেক দোয়া করার পরে আল্লাহ
তায়ালা তাকে ৮৬ বছর বয়সে একজন সন্তান দান করেন আর তিনিই হলেন হযরত ইসমাঈল আ.
একদিন আল্লাহ তায়ালা হযরত ইবরাহিম আঃ কে সপ্নে হযরত ইসমাঈল
আঃ কে, কুরবানী করার কথা জানান। এরই পরিপেক্ষিতে আরাফার ময়দানে আল্লাহর হুকুম রাস্তবায়নের
জন্য তিনি প্রিয় পুত্র ইসমাঈল আঃ কে কুরবানী করার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করেছিল,
পরবর্তিতে আল্লাহ তায়ালা তার এই ত্যাগে খুশি হয়ে জিব্রাঈল
আ. এর মাধ্যমে একটা দুমাকে কুরবানীর জন্য পাঠিয়ে দেয়।
ও এটাই ছিল কুবরানীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও অনন্য এক ইতিহাস
রাসূল সা. মদিনায় যাওয়ার পরেই কুরবানী সংঞান্ত আয়াত নাযিল
হয় রাসূল সা. ৬২২-৬৩২ পখন্ত ১০ বছর কুরবানি
করেন, আর তখন থেকেই আমাদের উপর কুরবানী করা ওয়াজিব হয়।
কুরবানী সংক্রান্ত কিছু আয়াত সমূহ :
لَنْ يَنَالَ اللَّهَ لُحُومُهَا وَلَا دِمَاؤُهَا وَلَكِنْ يَنَالُهُ التَّقْوَى مِنْكُمْ (সূরা আল -হাজ্জ্ব আয়াত ৩৭)
(সূরা কাওসার আয়াত ২) فَصَلِّ لِرَبِّكَ وَٱنْحَرْ
No comments